বসন্ত বাতাসে বরফের চাদরে লন্ডন, সাগর-রুনীর সন্তান কি গালি দেয় ঢাকার সাংবাদিকদের?
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী ।। (১) ফেব্রুয়ারী মাস আসলেই বসন্তের ডাক চলে আসে। অনেকেই ফেসবুকে মেসেঞ্জারে মেসেজ দেন “ফুল ফুটুক আর নাই ফুটক আজ বসন্ত” এ কথাটি কার আমি জানিনা, তবে এ কথাটির কোনো অর্থ আমার কাছে প্রতিয়মান হয়না। কারন বসন্ত আসলে ফুল ফুটবেই তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশে যখন ছিলাম তখন বসন্ত আমাকে নাড়া দিত। তাড়া করতো। বসন্ত আমাকে প্রেমিকার কাছে চলে যাওয়ার উৎসাহ বা প্রেরনা যোগাতো। বসন্ত আসলেই আমি আমার প্রেমকে খুঁজি। কৃষ্ণচূড়া আমাকে বড় বেশী টানে, কৃষ্ণচূড়া আমাকে পাগল করে, যৌবনের উম্মাদনা ফিরিয়ে দেয় বসন্তের কৃষ্ণচূড়া। লন্ডনে আসার পর আমার জীবন থেকে বসন্ত চলে গেছে। ফেব্রুয়ারী মাস লন্ডনে বসন্তের আগমন থেকে সবাইকে বিরত রাখে, গত কয়েকদিন যে পরিমান বরফ লন্ডনে পড়েছে তাতে বসন্তের কোনো নাম গন্ধ খোজে পাইনি। বাংলাদেশে যেখানে বসন্তের সময় কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ্গে রঙ্গিন হয় সব কিছু , লন্ডনে তখন তার সম্পূর্ণ বিপরীত। যে দিকে তাকাই সেদিকে সাদা আর সাদা। বাংলাদেশে যেখানে বসন্ত সবাইকে হাতচানি দিয়ে ডাকে, লন্ডনে সেখানে বরফের কারনে মেট্রপলিটন পুলিশ ঘোষনা দেয় কাজ ছাড়া যেন কেউ রাস্তায় বের না হন। লন্ডনে যখন বসন্তের কথা মনে করে আমি কষ্ট পাই লন্ডনের সাদা মানুষরা তখন বরফকে আপন করে নিয়ে বরফ দিয়ে ঢিল ছুড়ে, ওরা খেলা করে, তাদের মধ্যে এক আনন্দ কাজ করে। বসন্ত আমাকে কষ্ট দেয়। আমি সেই কষ্ট বুকে ধারন করে লন্ডনের রাস্তায় প্রচন্ড তুষারপাতে ধীরগতিতে গাড়ী চালাই। গত শুক্রবারে এ থাটির্নে নাকি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সাবধানে গাড়ী চালাতে বলা হলেও বরফের মধ্যে গাড়ী চালানো মুশকিল। এমনভাবে গাড়ী স্লিপ করে ব্রেক ধরা সমস্যা হয়। গত শুক্রবারে সন্ধ্যার দিকে পূর্ব লন্ডনের এ থার্টিনের রাস্তা ধরে যখন এগুতে ছিলাম, তখন অনেক কিছুই মনের মধ্যে উকি দেয়, মনে মনে বলি হায়রে বাংলাদেশের বসন্ত তোমি কোথায় আর আমি কোথায়? সবাই ফগ লাইট অন করে গাড়ী চালাচ্ছে, আমি হিটার অন করি, কিন্তু গাড়ী যেন কোনো কিছুতেই গরম হচ্ছিলনা, পূর্ব লন্ডনের বেকটনের কাছে আসতেই গাড়ী কিছুটা গরম হয়, আমি সিডি অন করে গান শুনার চেষ্টা করি গান বেজে উঠে, “আমি চাইলাম যারে ভবে পাইলামনা তারে সে এখন বাস করে অন্যের ঘরে——, জীবন দিয়ে যারে আমি ভেসেছিলাম ভালো সে আমারে ভূল বুঝিয়ে দুরে চলে গেল— হায়রে ভালোবাসা আমায় করলে নৈরাশা——। যদিও গানটি নিরেট এক প্রেমের গান আমি কিন্তু গানটিকে হৃদয়াঙ্গম করেছি অন্যভাবে, গানের কলি আর আমার মনের কথার সাথে যে কত মিল তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাই, আমি চাইলাম যারে ভবে পাইলামনা তারে—-সে এখন বাস করে অন্যের ঘরে।
প্রিয় পাঠক আমরা যারা বিদেশে প্রবাসে বসবাস করি তারা কিন্তু অন্যের ঘরে বসবাস করি? “জীবন দিয়ে যারে আমি ভেসেছিলাম ভালো“ সে আমারে ভূল বুঝিয়ে দুরে চলে গেল“, প্রিয় পাঠক আমরা দেশ থেকে বিদেশে কি ভূল বুঝে চলে এসেছি? আমারা কিন্তু লন্ডনে বসেও বাংলাদেশকে জীবন দিয়ে ভালোবাসি। কিন্তু বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের মানুষ রাষ্ট যন্ত্র কতটা আমাদেরকে ভালোবাসে তা আমি বলতে পারবোনা! তবে আমার পাঠকরা বলতে পারেনা কি-না আমি জানিনা।
(২) অনেকদিন থেকে লেখার টেবিলে বসতে পারছিনা। লেখালেখি অনেকটা নেশার মতই। আমি লিখিনি গত ৮ বছর। চ্যানেল আই লন্ডনে চ্কাুরী নেয়ার পর আমার লেখালেখি অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর দীর্ঘ বিরতি। গত বছর হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত হয় আমরা লন্ডন থেকে একটি অনলাইন প্রকাশ করবো। তোফায়েল আহমদ শায়েক, ফেরদৌস শারদীল, এবং আমি, আমরা তিনজন মিলেই শুরু করে দেই। যেই কথা সেই কাজ। তোফায়েল বিএনপি রাজনীতির সমর্থক, ফেরদৌস শারদীল সাহেব আওয়ামলীগের রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত, আর আমি বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতীক দল সমর্থন করিনা। তবে আমরা নীতিগতভাবে একমত হই যে কোনো-ভাবেই- বাংলা স্টেটমেন্ট কোনো পার্টির মুখপত্র হতে পারবেনা। সে যাক এ পর্যন্ত আমরা সেভাবেই আগ্রসর হয়েছি, এবং ভবিষ্যতে সেভাবেই চলবে। বাংলা স্টেটমেন্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই আমি লিখছি, লিখার একটি তাগিদ প্রধান সম্পাদক তোফায়েল আহমদের কাছ থেকেই আসে। গত দুই সপ্তাহ, আর লেখা হয়ে উঠছেনা। ফেব্রুয়ারী মাসে ঢাকার বই মেলায় আমার একখানা বই প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সময়ের অভাবে তা হয়ে উঠেনি। বইটির নাম প্রচ্ছদ সব কিছুই অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত হয়েছিল, যিনি বইটির জন্য সবচাইতে বেশী উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি লন্ডনের একজন শক্তিশালী কবি নাম মোহাম্মদ আব্দুল হক, আমার অনেক কাছের মানুষ তিনি, আব্দুল হকই প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে সব করে আমাকে দিয়েছিলেন। আব্দুল হক এক সময় ব্লগার ছিলেন। ব্লগ নিয়ে আব্দুল হক তার ফেসবুকে লিখেছেন ৯ বছর ১০ মাস ব্লগিং করেও ব্লগার হতে পারিনি, কারন হলো আমি বিশ্বাস করি সত্যের সাথী হতে হলে ইসলাম ধর্ম মানতে হবে। আমি কোনো আলিম নয়, তবে বাস্তববাদী। আমি ধর্মান্ধ নয়, আমি চাষার ছেলে চাষা, চুরি ডাকাতি, অন্যের স্ত্রীর সাথে বদমাশী, নারী নির্যাতন, মদপান, জুয়া সুদ ঘুষ মিথ্যা, বেঈমানী, চুকলি, অন্যের ধর্মকে গালি দেয়া, অন্যের মা বাবা বোনকে বকা দেয়া জগণ্য কর্ম বলেই জানি। এখন আসি ইসলাম ধর্মে। দুনিয়ার সভ্য মানুষরা যা পছন্দ করে ইসলাম তা করার জন্য বলে—————–। এ রকম অনেক জ্ঞানগর্ব স্টেটাস তার ফেসবুকে রয়েছে। সে যাক আব্দুল হক সাহেবের তাগিদ সত্বেও বই ছাপা হলো না, আমি বইটির পান্ডুলিপি সময়ের অভাবে দেখে দিতে পারিনি, তবে বইটি ভবিষ্যতে ছাপার মুখ দেখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
(৩) সাংবাদিক সাগর রুনির হত্যা মামলার কথা মনে পড়লে আমার মনটা খারাপ হয়ে যায়। আজ থেকে ৬ বছর আগে এই সাংবাদিক দম্পতিকে তাদের বাসায় তাদের নিস্পাপ শিশুর সামনে খুন করা হয়েছিল। খুনের পর পরই তৎকালিন স্বরাষ্টমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধিদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখিন করা হবে। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কারো বেডরুম পাহারা দেয়া সরকারের দায়িত্ব নয়। আমি তখন লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে সাগর রুনির হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আমার সহকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধন করেছিলাম, এবং সেদিন আমি টিভি সাক্ষাতকারে লম্বা লম্বা কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম সাগর রুনি হত্যাকান্ডের বিচার যদি সরকার না করেন, তাহলে লন্ডনে আমরা হাউস অব পার্লামেন্টের সামনে মানব বন্ধন করবো, প্রয়োজনে লন্ডনের সকল সাংবাদিকদের নিয়ে আমরণ অনশন করবো। কিন্তু আমি নিজেই নিজের কথা রাখিনি। আমি কিছুই করিনি। করতে পারিনি। কারণ লন্ডনে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ হাউস অব পার্লামেন্টের সামনে ১০ ডাউনিং ষ্ট্রীটের সামনে এত বেশী মানব বন্ধন করেছেন যে, এখন ডাউনিং ষ্ট্রীটের পুলিশ ও বিরক্ত হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বারকলিপি এখন আর লন্ডনের পুলিশ নিতে চায়না। নিয়ে কি করবে? বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তো বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মাথা ঘামায় না। কোনো কিছু হলেই ডাউনিং ষ্ট্রীটের সামনে গিয়ে কে কি এচিভ করেন আমি তা বুঝিনা। এই বৃটেনে পৃথিবীর সব দেশের এম্বেসি বা হাইকমিশন রয়েছে, আমার মনে হয়না বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে যত ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটে আর অন্য কোনো দেশের হাইকমিশনের সামনে তা ঘটে কি-না?
সে যাক, লিখতে বসেছি সাগর রুনির হত্যা মামলার কথা কিন্তু কথার পিঠে কথা চলে আসে। প্রিয় পাঠক, সাগর রুনি হত্যা মামলার বিচার যে হবেনা তা আমি প্রথম থেকেই বুঝে ফেলেছিলাম। আমি আরো বুঝতে পেরেছিলাম একজন টিভি মালিকের বক্তব্য থেকে। আমার যারা পাঠক তাদের স্মৃতিশক্তি যদি প্রখর হয় তাহলে মনে করতে পারবেন, মুনির খুকুর প্রেম কাহিনীর কথা? এরশাদ সাহেবের শাসনামলে ঘটেছিল সে ঘটনাটি। আমি তখন অনেক ছোট। জাতীয় পত্র পত্রিকা তখন দিনের পর দিন মুনির খুকুর প্রেমের কথা পত্র পত্রিকায় প্রকাশ করেছিল। স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারণা না করে তাহলে খুব সম্ভবত মুনিরের স্ত্রী ছিলেন আমাদের শহীদ সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের সাহেবের মেয়ে নাম সম্ভবত ছিল রিমি। রিমিকে মুনির পরকীয়ার কারণে খুন করে ফেলেছিলেন। কিছু কিছু মহিলা আছেন ইদানিং বলতে শুরু করেছেন পরকীয়া প্রেম করা নাকি জায়েজ আছে। তাদের যুক্তি হচ্ছে একজন পুরুষ যদি পরকীয়া করতে পারে তাহলে একজন নারী কেন পারেনা। পরকীয়া প্রেম হউক আর রিয়েল প্রেম হউক প্রেম করা দোষের কিছুই নেই। কিন্তু প্রেমের কারনে একজন আরেকজনকে মেরে ফেলতে হবে কেন? ইসলাম ধর্ম আর যে কোনো ধর্মের কথাই বলি না কেন সব ধর্মে রয়েছে আপনার স্ত্রীর সাথে যদি বনিবনা না হয় তাহলে আপনি ডিভোর্স করতে পারেন, সেপারেশনে যেতে পারেন। কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় স্বামীর সাথে স্ত্রীর আর স্ত্রীর সাথে যদি স্বামীর বনিবনা না হয় তাহলে অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে হত্যার মত কঠিন পথ তারা বেছে নেন। অথচ এসবের কোনো দরকার পড়েনা। আমার বনিবনা হবেনা আমি আলাদা হয়ে যাবো। ব্যাক্তিগতভাবে আমার অনেকের সাথে কথা বার্তায় আচার আচরণে মিলে না, তাই বলে আমি ঝগড়া করিনা। আমি মেইক শিউর করি এ জন্মে যেন তার সাথে আমার দেখা না হয়, আর পরজন্মে সে চলে যাবে বেহেস্তে আমি কোথায় যাবো আল্লাহ মালিক জানেন। প্রিয় পাঠক, সেই মুনির খুকুর পরকীয়ার বলি হয়েছিলেন রিমি। রিমি হত্যার পর তৎকালীন সময়ে সাংবাদিকরা শপথ নিয়েছিলেন রিমি হত্যার বিচার করেই তারা ছাড়বেন, করেছিলেনও। সেই হত্যার বিচার হয়েছিল মুনিরের ফাঁসি হয়েছিল, আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে মুনিরের মা তৎকালিন সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে তার ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি সেখানে রাজী হননি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সাগর রুনির হত্যার পর বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেননি। অনেকেই অনেক কিছুই বলেছিলেন। আমার কথা হচ্ছে যে যাই বলুননা কেন হত্যার বিচার তো হতে হবে? অবশ্য বাংলায় একটি কথা আছে “পাপ বাপকে ছাড়েনা আর খুন কোনোদিন চাপা থাকেনা। খুনের বিচার হবেই। সেটি প্রকৃতির প্রতিশোধের কারনেই হোক, অথবা নিয়তির নিষ্ঠুর নির্মমতার কারণেই হোক। আল্লাহর বিচার তো হতেই হবে।
গত বছরের আগষ্ট মাসে দেশে গিয়েছিলাম সিলেটের দৈনিক শুভ প্রতিদিনের প্রকাশনা উৎসবে। সেখানে মাননীয় অর্থমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আমি আমার বক্তৃতায় বলেছিলাম “সাংবাদিকতা করে আমার কোনো লাভ হয়নি“ আসলে ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাহেবকে সেদিন উদ্দেশ্যে করে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে এক পর্যায়ে আমি ভয়ে আমার বক্তৃতা নিজেইে এডিট করেছিলাম, কারণ মাননীয় অর্থমন্ত্রী যেভাবে সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন তাতেই আমি ভয় পেয়েছিলাম। তা ছাড়া আমি গিয়েছি অতিথি হয়ে সেখানে জালাময়ী বক্তৃতা দিলে অনুষ্টানের সোন্দৗর্য নষ্ট হবে। আমি সেই ফোরামে চেয়েছিলাম সাগর রুনির হত্যাকান্ডের বিষয়টি ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাহেবের কাছ থেকে জেনে নিতে। আমি সেদিন বলতে চেয়েছিলাম সাংবাদিকতা করে আমার কোনো লাভ না হলেও লাভ হয়েছে মাননীয় তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাহেবের। ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাহেব তার বক্তৃতার শেষের দিকে বলেছিলেন শোয়েব চৌধুরী যে বলেছেন সাংবাদিকতা করে তার কোনো লাভ হয়নি আমি সেটা মেনে নিতে পারিনাা, কারন সাংবাদিকতা আমরা কেউ লাভের আশায় করিনা।
প্রিয় পাঠক ,চৌধুরী সাহেবের বক্তব্য শুনে সেদিন আমি বা হলের শ্রোতারা কষ্ট না পেলেও কষ্ট পেয়েছিল সাগর রুনির আত্মা, কষ্ট পেয়েছিল সাগর রুনির নিষ্পাপ বাচ্চা। সে হয়তো সেদিন গালি দিয়েছিল এই ঢাকার সাংবাদিকরা তোরা হচ্ছিস দালালের বাচ্ছা দালাল, তোদের দালালীর কারনে আমার মা বাবর খুনের বিচার হলোনা!!! তবে বিচার হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতে সময় লেগেছিল ৪০ বছর। সাগর রুনির ও হত্যার বিচার হবে, হয়তো আমি সেটি দেখে যেতে পারবোনা, আমি আশা করি সাগর রুনির সন্তান সেটি দেখতে পারবে।
লেখক : সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব,
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ।
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)