প্রতি, নাঈমুল ইসলাম খান (বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার জনক)

প্রতি
নাঈমুল ইসলাম খান (বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার জনক)
সম্পাদক দৈনিক অর্থনীতি
ঢাকা বাংলাদেশ।

রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী
লন্ডন ।

 

                                                             -:এলাহি ভরসা:-

প্রিয় নাঈম ভাই,
পত্রের শুরুতে আমার সালাম নিবেন। আশা করি পরিবার পরিজন নিয়ে আপনি সুখেই আছেন। সুখে থাকাটা চাই। দীর্ঘদিন ধরে আপনাকে লিখবো লিখবো ভাবছি, কিন্তু লেখা হয়ে উঠছেনা। বুকের ভেতরের চাপা কষ্টটা মাঝে মধ্যে চাঙ্গা হয়ে উঠে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সে ঢাকার সাংবাদিকদের তৈল মর্দন দেখে কখনো কখনো মনে হয় সব কিছু ছিড়ে ছুড়ে দিয়ে আফ্রিকার কোনো জঙ্গলে চলে যাই। কিন্তু পারিনা। আমার বাসার ডাইনিং রুমের জানালার পাশের সবুজ গাছটি ক্রমেই সোনলী হয়ে উঠছে। এবারের গ্রীস্মে বেশ কিছু ফুল গাছের চারা রোপন করেছিলাম। প্রচন্ড গরমে সেগুলো সুন্দরভাবে ফুটেছিল। ইদানিং ঠান্ডার কারনে কেমন জানি ফেকাশে কালার ধারন করে ফেলছে। মাঝে মধ্যে নিজের দিকে থাকালেও কেমন জানি আতকে উঠি, দিন দিন বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। চেহারার গ্ল্যামার চলে যাচ্ছে। অবশ্য আমি দেখতেও খুব একটা সুন্দর বা স্মার্ট না। রাতে লোকজন দেখলে আমাকে ভয় পায়। সে যাক লন্ডনে ইদানিং কিছুটা ঠান্ডা পড়ে গেছে। অথচ ঠান্ডা পড়ার কথা নয়। ড্রয়িং রুম থেকে টেমসের ভিউটা দেখতে ভালোই লাগে। দিনের থেকে রাতের দৃশ্যটা নয়নাভিরাম। আপনিই তো বলেছিলেন। একবার আপনি লন্ডনে এসে আমার বাসায় উঠেছিলেন। লন্ডনে আপনার সম্মানে আমার বাসায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় এবং আ্ড্ডার আয়োজন করেছিলাম, গাফফার ভাই সহ অনেকেই সেদিন দিনভর আড্ডা দিয়েছিলেন। পারভীন আপা (পারভীন সুলতানা) আসবেন বলে আসেননি। গাফফার ভাই অবশ্য আমাকে বলেছিলেন পারভীন আপাকে দাওয়াত দেয়ার জন্য আমি দিয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারভীন আপা কেন যে আসলেননা আজো জানিনা। এখন গাফফার ভাই আর পারভীন আপার খবর নিতে চাননা। শুনেছি মান অভিমানেই দুজন ভোগছেন। গাফফার ভাইর প্রেমিক এবং অভিমানি মন কখন যে কি হয় বলা মশকিল। আমি অবশ্য একবার গাফার ভাইকে টেলিভিশন প্রোগ্রামে জিজ্ঞাস করেছিলাম এত মহিলা ভক্ত কেন? যেখানে গাফফার ভাই যান সেখানে মহিলারা ভীড় করেন! গাফফার ভাই বলেছিলেন ”ফুলের বনে যার পাশে যাই তাকেই লাগে ভালো”।

আমিনুল হক বাদশাহ ভাই বঙ্গবন্ধুর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী আসতে কিছুটা লেইট করেছিলেন বলে আপসোস করেছিলেন। আপনাকে বাদশাহ ভাই অনেক পছন্দ করতেন। বাদশাহ ভাই মারা যাওয়ারও প্রায় ২/৩ বছর হয়ে গেল, আজ লিখতে বসে বাদশাহ ভাইর কথা খুবই মনে পড়ছে। আপনাকে পছন্দ করার কারন ছিল, আপনার সম্পাদনায় আজকের কাগজে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশে আপনার বাবার নামটি যে ছাপা হয়েছিল সেটির জন্য। বাদশাহ ভাই আমাকে বলেছিলেন নাঈমুল ইসলাম খানের সৎ সাহস আছে। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে সব কিছু। সাংবাদিকতাও বদলে যাচ্ছে, প্রেস কনফারেন্সের ধরনও বদলে যাচ্ছে। আপনাদের প্রেস কনফারেন্সের প্রশ্ন শুনলে আপনাদের মুখ দেখলেই আতকে উঠি। কি ভিবীৎস সাংবাদিকদের চামচামীর চেহারা! কি ভীবৎস চোহারা নিয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও প্রশ্ন শুনে হয়তো হাসেন। আমার ঘেন্না লাগে, কিন্তু কিছুই বলতে পারিনা। চোখের সামনে সাংবাদিকতার এই অধ:পতন আপনি মেনে নিচ্ছেন কিভাবে? আপনার কি খারাপ লাগেনা নাঈম ভাই? আপনারই তো পরিচিত তারা। তাদেরকে আপনি বলতে পারেননা এ রকম প্রশ্ন সাংবাদিকতার এথিক্সে পড়েনা। জানি আপনি পারবেননা। কারন ৮০ দশকের নাঈমুল ইসলাম খান আর ২০১৮ সালের নাঈমুল ইসলাম খানের মধ্যে অনেক তফাৎ, অনেক পার্থক্য। আমি আরো কঠিন ভাষায় অনেক কিছুই লিখতে চাই, কিন্তু লিখিনা, আমি লিখলাম আপনি পড়লেননা, অথবা আমি লিখলাম আপনি গুরুত্ব দিলেননা। অথবা আপনি মন্তব্য করে বসলেন পাগলের প্রলাপ। কত কিছুই তো মনে উঠে। মন তো, মানুষের মনের উপরে কারো হাত নেই। মন কখন কোথায় কোন দিকে যায় বুঝা মুশকিল, মন কখনো চলে যায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকে, মন কখনো চলে যায় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের দিকে। আমরা তো সব কিছুর পর মানুষ। মানুষের মনের নাকি কোনো ব্রেক নেই। অথচ পশু পাখির ব্রেক আছে। সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগাররা যদি কাল বেরিয়ে এসে এসব শহরের চামচা সাংবাদিক মানুষের উপর হানা দেয় তাহলে কি অবস্থা হবে সাংবাদিক মানুষদের? মানুষ কখনো চিন্তা করেনা। আমরা যে শহরে বসবাস করি তাদের অবস্থাই বা কি হবে?

আমি লন্ডনে বসবাস করি, আপনি ঢাকা শহরে বসবাস করেন। শুনেছি কে যেন বলল ঢাকা শহর নাকি ক্রমেই বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে উঠছে। লন্ডন শহরের অবস্থাও ভালো না, ঘনবসতি প্রত্যেকটি শহরকেই গ্রাস করে ফেলছে। তবে লন্ডন শহরের সাংবাদিকরা চামচামী করেনা। আল্লাহ সব শহরের চামচাদের রহম করুন। গত বছর যখন ঢাকায় গিয়েছিলাম তখন আপনার বাড়ীতে গিয়েছিলাম, লাবীবা দেখতে দেখতে বড় হয়ে গেল, আমার ছেলেটা ১৪ বছরেই ৬ ফুটের কাছাকাছি চলে এসেছে, সারাক্ষন বলে সে বড় হয়ে গেছে। আমার মা সেদিন তার বড় হওয়ার কথা শুনতে শুনতে বলেছেন তোমাকে কি বিয়ে দিয়ে দিব। ছেলে বলে দুর আমি এখন বিয়ে করবোনা। বিয়ে প্রথম প্রথম কেউ করতে চায়না। যখন করে তখন স্ত্রীর পিছন পিছন ঘুরে বেড়ায়। কি এক অদ্ভুদ সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর——-

সে যাক আমি শুনেছি সত্য মিথ্যা জানিনা আপনাকে নাকি বলা হয় বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার জনক। আপনি খবরের কাগজের মাধ্যমে আজকের কাগজের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ধারার সাংবাদিকতা প্রবর্তন করেছিলেন। আমি এ ও শুনেছি আজকে যারা ঢাকায় সাংবাদিকতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা নাকি বেশীর ভাগেরই সাংবাদিকতার হাতে খড়ি আপনার মাধ্যমে। অনেকেই সব কৃতিত্ব আপনাকে দিতে চায়। আজকের কাগজের কৃতিত্ব যদি সব আপনার হয় তাহলে কাজী শাহেদ আহমদ সাহেব কে কোথায় রাখা হবে? কাজী শাহেদ আহমদ সাহেব কেমন আছেন অনেকদিন উনার কোনো খবর গনমাধ্যমে দেখিনা, উনি কি অভিমান করে মিডিয়া থেকে দুরে সরে গেছেন? ডেম স্মার্ট একজন মানুষ। আমার খুবই ভালো লাগে ভদ্রলোককে।
নাঈম ভাই আপনি নানা কারনে আলোচিত সমালোচিত। আপনার আলোচনা সমালোচনা মানুষ বেশ উপভোগ করে। আপনি কি পারেননা সাংবাদিকদের কিছুটা জ্ঞান দান করতে? আপনি কি পারেননা, সাংবাদিকদের বলতে হে ঢাকার সাংবাদিক তোরা আগে মানুষ হও, পরে সাংবাদিক হও। চামচা হওয়ার কোনো দরকার নেই। চামচামী করে কেউ বেশী দুর যেতে পারেনি তোমরাও পারবেনা।

প্রিয় নাঈম ভাই অনেকেই বলেন বর্তমান সরকারের আমলে নাকি স্বাধীনভাবে সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছেননা কথাটি কি ঠিক? সরকার কি চায়? একজন সাংবাদিক সে কতটুকু স্বাধীনতা চায়? পৃথিবীর সবাই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চায়। সাংবাদিক চায় তার লেখার স্বাধীনতা, উপস্থাপক চায় তার বলার স্বাধীনতা কিন্তু সেটিও নাকি অনুপস্থিত। সাদা পোষাকধারীরা নাকি এখন বাংলাদেশে খুবই তৎপর। মানুষ নাকি স্বাধীনভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছেনা? এতোটা বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে নাকি সরকারের কর্তাব্যাক্তিরা? কিন্তু কেন? ঢাকা শহরে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া তো অনেক কষ্টের। ২/১ দিন আগে আমার এক বন্ধু আমাকে কফি খাওয়ানের জন্য পূর্ব লন্ডনের এক্সেলে নিয়ে যায়। যদিও দীর্ঘদিন সেখানে আমি আড্ডা দিয়েছি, কফি খেয়েছি, প্রেম করেছি কিন্তু সে দিন আমি আমার বন্ধু সালিকের সাথে মন ভরে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়েছি। মনোরোম এক পরিবেশ ছিল সন্ধ্যার দিকে, লন্ডনের সিটি এয়ারপোর্টের ওভারব্রিজে উঠেছিলাম আমি, আমার বন্ধু তখন কথা বলছিল, আমি তার কথায় কখনো সায় দিচ্ছিলাম কখনো দেশের সাংবাদিকতা এবং রাজনীতির কথা ভাবছিলাম। কারন আমি কফি খাইতে যাওয়ার আগেই এ লেখাটি শুরু করেছিলাম। আমার খুবই খারাপ লাগে সাংবাদিকতার এ বেহাল দশা দেখে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের ধরন দেখে। ২০১৪ সালে সম্ভবত লন্ডনে তারেক রহমান সাহেবের সাথে লন্ডনের সাংবাদিকদের ইফতার পরবর্তী এক আড্ডায় যেভাবে এক বিএনপি সমর্থিত সাংবাদিক তাকে অবশ্য আমি সাংবাদিক না ভেবে দলীয় কর্মীই ভেবেছিলাম, প্রশ্ন শুনে আমার মনে হয়েছিল তাকে গাড় ধরে বের করে দেই কিন্তু পারিনি। বয়স পজিশন সব কিছু ভেবে কথা বলিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্সে তো সে সমস্যা নেই। পজিশনের দিক দিয়ে তো কেউ কারো থেকে কম নয়, যারা চামচামী করে তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের না করে অন্তত গলা ঝাড়ি তো আপনারা দিতে পারেন। না সেটিও পারেননা।

আমার খুবই কষ্ট হয় এসব দেখে। আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরন কেউ দেখেনা। দেশটাকে অসম্ভব ভালোবাসি নাঈম ভাই। কিন্তু দেশের জন্য নিজের জন্য কিছুই করতে পারিনি। এ না পারার বেদনা আমাকে নিঃশ্বেস করে দিচ্ছে। দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দুরে অবস্থান করে কেন যে দেশের জন্য মন কাঁদে বুঝিনা। দেশতো আমাদের প্রবাসীদের জন্য কাদেঁনা। আমরা যারা প্রবাসী জানিনা কোন আতেল এ ”প্রবাসী” শব্দটি ব্যবহার করেছে? গত বছর সিলেটের এক সভায় আমি বলেছিলাম আমাদেরকে যেন প্রবাসী বলা না হয়। সেখানে আপনার পরিচিত ”বাংলাদেশ প্রতিদিনের” সম্পাদক নঈম নিজাম সাহেবের একমাত্র স্ত্রী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ছিলেন। তিনি অবশ্য আমাকে সমর্থন করেছিলেন। কারন প্রবাসীরা দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে পারে। না রাখলেও বাধা নেই। আপনারা যদি আমাদেরকে নাগরিকত্ব দিতে না চান তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের লন্ডন প্রবাসী বাপ দাদার দেয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা চক্রবৃদ্ধিহারে যা হয়েছে তার পাই পাই করে হিসেব করে আমাদের বুঝিয়ে দিবেন। কারন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আপনারা এমপি হয়েছেন মন্ত্রী হয়েছেন আমলা হয়েছেন কামলা হয়েছেন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, আমরা যারা লন্ডন প্রবাসী তারা কি হয়েছি? আমি লন্ডনীর ছেলে তো লন্ডনী রয়েই গেলাম। অনেকের কাছেই তো দাবী করেছিলাম আমারা যারা প্রবাসী তাদেরকে প্রবাসী কোটায় ৬ টি মহাদেশ থেকে অন্তত ১০ জনকে সিলেক্টেড এমপি বানানরো জন্য, কিন্তু কে শানে কার কথা। আসলে লিখতে বসেছি সাংবাদিকদের চামচামি নিয়ে কিন্তু কথার পিঠে কথা চলে আসে ।

প্রিয় নাঈম ভাই আমরা যারা সাংবাদিক লেখক উপস্থাপক তারা তো এ জীবনে খুব বেশী কিছু চাইনি। আমরা চেয়েছি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে। মুক্ত বিহঙ্গের মত সাংবাদিকতার ডানা উড়াতে। কিছুদিন আগে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেবের একটি কলাম পড়েছিলাম তিনি সেখানে সেল্প সেন্সরের কথা বলেছেন। এই মতি ভাই ই তো এরশাদ সাহেবের সময় ”দুর্নীতিবাজদের উল্লাসের নৃত্য” লিখে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। আজ সেই মতি ভাইর কলম কেমন জানি থেমে গেছে, থেমে গেছে সাংবাদিকতার লেখক সত্তার কোলাহল। লেখা পড়ে দীর্ঘ এই সাংবাদিকতা জীবনে মতি ভাই ক্লান্ত অনুভব করছেন বলে মনে হলো। তিনি কি আসলেও ক্লান্ত? না তাকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে? কে জানে, লন্ডনে বসে অনেক কিছুই শুনি। বাতাসে অনেক কিছুই ভেসে বেড়ায়। লেখা আর দীর্ঘ করতে চাইনা। আপনারা সাংবাদিকরা লেখকরা টিভি রিপোর্টাররা সত্য উদঘাটনে কাজ করবেন, চামচামি, বেহায়াপনা, নির্লজ্জতাকে পিছনে ফেলে স্বাধীনভাবে কাজ করবেন, একটি স্বাধীন দেশ যেভাবে আমরা পেয়েছি সে রকম স্বাধীন একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন এটাই আপনাদের কাছে চাওয়া। আমি কামনা করি আপনারা প্রকৃত সাংবাদিকতার স্বাধ নিয়ে চলা ফেরা করবেন, কেউ যেন মৃত্যুর পূর্বে শ্রদ্ধেয় গোলাম সরওয়ার অথবা একজন ইকবাল সোবহান চৌধুরী না হন। সারা জীবন যেন মানুষের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা নিয়ে পরপারে পাড়ি জমাতে পারেন। ক্ষমতা, যৌবন, চামচামী, ভন্ডামী, বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা চিরস্থায়ী নয়। শ্রদ্ধা এবং মানুষের ভালোবাসাই চিরস্থায়ী। অনেক ভালো থাকবেন আপনি, ভাবীকে সালাম বলবেন, আপনার মেয়েদের প্রতি আদর এবং ভালোবাসা।

আপনার নিরন্তর কল্যান কামনায়,

রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী।

 লেখকসভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব,

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম,ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ। ( মতামত লেখকের নিজস্ব )

Leave a Reply

More News from মতামত

More News

Developed by: TechLoge

x