প্রিয় তসলিমা নাসরিন বেশীরভাগ নারী সাংবাদিক পুরুষ সাংবাদিক ও রাজনীতিবীদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র!!!!
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী \\ মাসুদা ভাট্রির বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলাম আর লিখবোনা কারণ হাত তুলা দিলে সবারই কিছু না কিছু গন্ধ বের হয়, বের হবে, কারণ আমরা সবাই দোষে গুনে মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশের আজকের বাস্তবতায় যে কোনো ইস্যুহীন ইস্যু নিয়ে সবাই কথা বলেন। ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন সাহেব মুখ ফসকে একটি কথা হয়তো বলেই ফেলেছেন তাতে তিনি ক্ষমা ও চেয়েছেন তারপরও এটি নিয়ে দেশের সাংবাদিক সম্পাদক বুদ্ধিজিবীরা কার ঈশারায় কার ঈঙ্গিতে এত গরম হলেন আমরা যারা বিদেশে বসে আছি তারা সব বুঝি। আমি আজ লিখতাম না এটি নিয়ে কিন্তু তসলিমা নাসরিনের ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে আমি বিব্রত। আমরা যারা বিদেশে বসবাস করি তারা কিছুটা হলেও মান ইজ্জত নিয়ে বসবাস করি। আমাদের ব্যাপারে কিছু লিখলে আমাদের লাগে, আপনারা হয়তো দুর থেকে লিখেই খালাস পান, কিন্তু আমাদেরকে জবাব দিতে হয়।
তসলিমা নাসরিনের সাথে আমার পরিচয় বা দেখা হয়েছিল খুব সম্ভবত ১৯৯৬/১৯৯৭ ইংরেজীতে। কোনো এক সুন্দর বিকেলে আমি হাঁটতে বেরিয়েছিলাম টেমস নদীর পাশ দিয়ে, হাঁটতে হাঁটতে আমি চলে গিয়েছিলাম ওয়েস্ট মিনিষ্টারের পাশে, স্মৃতি যদি আমার সাথে প্রতারনা না করে তাহলে ওয়েষ্ট মিনিষ্টার হলে তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে কি একটা মিটিং হয়েছিল, সেখানে কলকাতার দাদারা উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী, এবং তৎকালীন সময়ের ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির নেত্রী বহু বইয়ের লেখিকা মুসতারী শফি। আমি এবং আমার অনুজ শাফি চৌধুরী হঠাৎ দেখতে পাই কলকাতার দাদারা ডুকছেন হলটিতে আমরাও ডুকে পড়ি এবং এক কোনায় বসি। তসলিমা বাংলাদেশকে উপস্থাপন করছেন মৌলবাদী দেশ হিসেবে। দেশের বেশীরভাগ পুরুষ মানুষ মহিলাদের নির্যাতন করে। দেশটিতে ইকুয়েল রাইটস নেই বললেই চলে। তা ছাড়া কোরআন নিয়েও তিনি কথা বলেছিলেন।
তসলিমার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর অডিয়েন্স থেকে প্রশ্ন করার আহবান জানিয়েছিলেন উপস্থাপক। আমি প্রশ্ন করি তসলিমাকে। কি বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম এখন আর পুরোপুরি মনে করতে পারছিনা , কিছুটা মনে আছে বাংলাদেশকে মৌলবাদী দেশ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছিলেন তসলিমা। আমার প্রশ্ন কিছুটা বিব্রতকর ছিল তসলিমার জন্য, কারণ অনুষ্ঠান শেষে আমরা যখন বেরিয়ে আসছিলাম তখন মুৃসতারি শফি আমাদেরকে জিজ্ঞাস করেছিলেন তোমরা কি বাঙালী? বলেছিলাম হ্যাঁ, তিনি বলেছিলেন দেশের বাইরে একজন সম্মানিত লেখিকাকে কি এভাবে অপদস্ত করা ঠিক হলো? উত্তরে আমি বলেছিলাম দেশের বাইরে দেশকে এভাবে অপদস্ত করা দেশকে মৌলবাদী দেশ বলা কি ঠিক? মুসতারী শফি কোনো জবাব দিতে পারেননি। গাফফার ভাই আমার দিকে বড় বড় চোখে থাকিয়েছিলেন আর কি যেন বলছিলেন। আমরা চলে আসি। পরেরদিন সম্ভবত ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির যুক্তরাজ্য কমিটির নেতা আনসার আহমদ উল্লাহ আমাকে পেয়ে বলেছিলেন পূর্ব লন্ডনের ডেভেনান্ট সেন্টারে ঘাতক দালাল নিমূল কমিটির নেত্রীকে সম্বর্ধনা দেয়া হবে আমি যেন উপস্থিত থাকি। বলেছিলাম যাবো। ২/১ দিন পর গেলাম ডেভেনান্ট সেন্টারে গিয়ে দেখি ঐ মহিলা মুসতারি শফি। তিনি বক্তৃতা দিচ্ছেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন ঢাকা শহরে যত মসজিদ গড়ে উঠেছে ইউরোপের কোথাও এত চার্চ দেখেননি। আমি হাত তুলি। পাশ থেকে গাফফার ভাই আনসার আহমদ উল্লাহকে বলেছিলেন ফ্লোর দেবেননা। আনসার আহমদ উল্লাহ আমার বন্ধু মানুষ তিনি ফ্লোর দিলেন, আমি বলেছিলাম আপনি ভূল বলছেন আপনি আসুন আমার সাথে লন্ডনের প্রতি একশত গজ অন্তর অন্তর আপনাকে চার্চ” দেখিয়ে দিবো। মুসতারি শফি আমাকে চিনে ফেলেছিলেন, পরে বক্তব্য শেষে তিনি আমার সাথে ছবি তুললেন, বঙ্গবন্ধুর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী আমিনুল হক বাদশাহ ভাইয়ের কি ধমক বেটা চিনস মুশতারি শফি কে? বলেছিলাম না, তাইন কে? সিলেটি ভাষায় বলেছিলাম। বাদশাহ ভাই বলেছিলেন ৬০ থেকে ৭০ খানা বই তিনি লিখেছেন, বলেছিলাম ভূল লিখেছেন। বাদশাহ ভাই আমাকে তসলিমা নাসরিনের বিষয়টি জানতে চাইলে আমি সব কিছু খুলে বলেছিলাম। বাদশাহ ভাই আমাকে বলেছিলেন তোকে নিয়ে আমরা খুবই ঝামেলায় আছি। সে যাক, পরবর্তীতে মুশতারি শফি আমাকে একখানা বই দিয়েছিলেন উপহার হিসেবে। আমি বইখানা ডেভেনান্ট সেন্টারের বাইরে এসে——— দিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম এ বই পড়ে আমার কোনো উপকার হবেনা। যে মহিলা তসলিমা নাসরিনের ব্যাপারে আগের দিন আমাকে জ্ঞান দান করার চেষ্টা করেছেন পরের দিন ঢাকা শহরের মসজিদের কথা বলে তিনি বলেছিলেন এত চার্চ লন্ডনের অথবা ইউরোপের কোথাও দেখেননি সে মহিলার বই পড়া মানে সময় নষ্ট করা।
প্রিয় তসলিমা নাসরিন, আপনাকে আমি এভাবেই আবিস্কার করেছিলাম লন্ডনের ওয়েস্টমিনিষ্টার হলে। তারপর আর আপনার সাথে আমার দেখা হয়নি, আপনি হেরে গেলেন নিজের কাছে, হেরে গেলেন জীবনের কাছে, আপনি হারিয়ে দিয়েছিলেন গোটা বাংলাদেশকে। আপনার কারনে গোটা বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিল একটি মোৗলবাদী দেশ হিসেবে। জানিনা আপনার সুত্র ধরে কি তৎকালীন সময়ে আজকের যিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন সময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী আমেরিকায় গিয়ে বলেছিলেন বাংলাদেশ ধীরে ধীরে জঙ্গি রাষ্ট্র হতে চলছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ইত্যাদি। তখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তৎকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে আমেরিকা প্রবাসীরা বেশ বেকায়দায় পড়েছিলেন।
আজ আপনি মাসুদা ভাট্রির উপকারের কথা লিখে আমরা যারা বৃটেনে বসবাস করি তাদেরকে কি বেকায়দায় ফেলে দিলেন তাই ভাবছি। আপনি লিখেছেন মাসুদা ভাট্রিকে আপনি বৃটেনে বসবাসের জন্য সাহায্য করেছেন। কেউ যদি কারো উপকার করে থাকে তাহেল এভাবে বলেনা প্রিয় তসলিাম নাসরিন। আপনি লিখেছেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী সাহেব আপনাকে অনুরোধ করেছিলেন একটি চিঠি লিখে দেয়ার জন্য। আপনি বলেছেন তাকে আপনি চিনেননা জানেননা, মিথ্যা কথা লিখতে পারবেননা। তারপরও লিখেছেন, লিখার ২০ বছর পর আপনি যে মিথ্যা লিখেছেন সেটি জনসমক্ষে বলে দিয়েছেন! এটা কি ঠিক হলো? আপনার চিঠির যারা মুল্য দিয়েছে আপনাকে যারা সম্মান দেখিয়েছে তাদের সম্মানেরই তো মুল্য আপনি দিলেননা। বাঙালীরা নগদ চিন্তা করে বৃটিশরা চিন্তা করে ১০০ শত বছর পরে কি হবে? আপনি যে চিঠি বৃটিশ হোম অফিসকে লিখেছিলেন ভবিষ্যতে কেউ যদি আপনার মত এভাবে লিখে এবং তা যদি জেনুইন হয় তাহলে যদি ফিরিয়ে দেয় তখন কি হবে? বৃটিশরা যদি বলে তোদের দেশের লিজেন্ড রাইটার তোদের দেশের যিনি নামকরা সাংবাদিক সাহিত্যিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী ও মিথ্যা কথা বলার জন্য আরেকজনকে উৎসাহিত করে হোম অফিস কে চিঠি দেয় তাহলে কি জবাব আমরা দেব প্রিয় তসলিমা নাসরিন? জবাব আমাদের কাছে নেই। বাংলাদেশটাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে বিদেশীদের কাছে আমাদের সমাজের লোকেরা নিজের স্বার্থের জন্য বিভিন্নভাবে বিক্রি করেছে। এখনো করছে। এই লন্ডনে দেশের এত বড় বড় মানুষ বাস করে আপনি কল্পনা করতে পারবেননা। লন্ডনে থাকার জন্য কত লোক কত ভাবে দেশকে বিক্রি করেছে একমাত্র আল্লাহ তালাহ জানেন। লন্ডনে হাজার হাজার লোক এসেছে পড়ালেখা শেষ করে চলে যাবে, কিন্তু যায়নি, হিথ্রো বিমান বন্দরে জিজ্ঞাস করেছে পড়ালেখা শেষ করে তুমি কি করবে? বলেছে আরে আমার দায়িত্ব আছেনা বাংলাদেশের প্রতি, পরবর্তীতে কিসের দায়িত্ব কিসের কি? সব ছেড়ে দিয়ে বৃটিশ বাঙালী মেয়েকে বিয়ে করে বাচ্চা আরো ৪/৫টা জন্ম দিয়ে বহাল তবিয়তে লন্ডনে বসবাস করছে। এসব মিথ্যা কথা অবলীলায় মানুষ বলছে। রাষ্ট্রীয় বেনিফিটের কথা লিখবোনা তসলিমা কারণ ওসব লিখলে কার উপর যে পড়বে একমাত্র আল্লাহ তালাহ জানেন। দেশের প্রচন্ড ক্ষমতাধর যারা তারাও কি কখনো বেনিফিট নিয়েছেন বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে কে জানে? হয়তো আপনি একদিন শুনবেন অমুখ তো এক সময় বেনিফিট নিয়েছেন বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে, আপনি কিন্তু তখন অবাক হবেননা।
প্রিয় তসলিমা, আপনি লিখেছেন দেশের ৫৫ জন সম্পাদক মাসুদা ভাট্রির পক্ষে দাড়িয়েছে, বিবৃতি দিয়েছে, কিন্তু আপনার সময় কেউই আপনাকে সমর্থন করেনি। এটি অবশ্যই দুঃখজনক, আপনি কেন? সাগর রুনিকে হত্যার পর কি এ রকম হয়েছিল? হয়নি, কোথায় ছিলেন আজকের এ ৫৫ জন সম্পাদক বুদ্ধিজীবি? আজকের যিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি কি বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন কারো বেডরুম পাহারা দেয়া কি সরকারের দায়িত্ব!!! তৎকালীন সময়ের স্বররাষ্টমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছিলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে দুস্কৃতিকারীদের খোজে বের করা হবে! আজ ২৪ মাস পার হতে চলছে আমার ধারনা ২৪ বছরেও এই সাগর রুনীর হত্যাকারীদের ধরা হবেনা। তা ছাড়া সাবেক সমাজ কল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী কি বলেছিলেন মনে আছে? বলেছিলেন “সাংবাদিকরা বউর উপরে আর শুইতে পারবানা“ সম্প্রচার নীতি হচ্ছে ঠিক হয়ে যাও, পুয়ান্তর রস বের করে ছেড়ে দিব চরিত্রহীন হকল“ তিনি বলেছিলেন “সাংবাদিক খবিস হকল“ ভূলে গেছে এ সব কথা এ জাতী? ভূলে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উনারা ভূলে গেলেও বাংলাদেশ ভূলেনি। সে যাক এ থেকে মাসুদা ভাট্রি খুবই ভাগ্যবান। আমি মাসুদা ভাট্রির এ ভাগ্যেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি, আপনি কেন সেটিকে নেতীবাচক করে দেখলেন, আপনি কষ্ট পেয়েছেন আপনার উপকারের জবাব দিয়েছেন মাসুদা ভাট্রি অনেক নোংরাভাবে, তাতে কষ্ট পাওয়ার কিছুই নেই। আপনি জানেননা উপকারীকে বাঘে খায়। আপনাকে খায়নি বাঘে এখনো, আপনি এখনো বহাল তবিয়তেই আছেন দাদাদের আশে পাশে। আপনি আমার থেকে খুব ভালো বুঝেন, যে ক্ষমতা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। বর্তমান সরকার এমন কোনো অন্যায় কাজ নেই যা ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য করেেছনা। আপনি বলুন এ সরকার আপনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো চেষ্টা করেছে? করেনি, করবেওনা কোনোদিন, কারণ সরকার মনে করে আপনি দেশের জন্য বাড়তি ঝামেলা।
লেখা লম্বা করে লাভ নেই প্রিয় তসলিমা নাসরিন। আপনার লেখা পড়ে আমি কষ্ট পেয়েছি, যেমনি করে কষ্ট পেয়েছেন মাসুদা ভাট্রি। মাসুদা আপনার লেখার একটি জাবাবও দিয়েছেন, পড়েছি সে লেখা। মাসুদা আতœপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেছেন। আপনার কথা ভেবে মাঝে মধ্যে আমি খুব কষ্ট পাই। আপনাকে আপনার সময়ে যে সব বুদ্ধিজীবিরা ছিলেন যে সব সম্পাদকরা ছিলেন তারা আপনাকে ব্যবহার করেছেন। বিনিময়ে তারা আপনার জন্য কিছুই করেননি। আপনার মাথার দাম যে মৌলানা ৫০ হাজার টাকা ঘোষনা করেছিলেন সে মৌলানা সাহেবকে আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম তিনি বলেছিলেন, তিনি ঘোষনা করেননি আরো কে একজন বলেছিলেন তার উপরে গিয়ে পড়েছে। সে মৌলানা সাহেব ও সম্প্রতি ইন্তোকল করেছেন। আমরা কেউই এ পৃথিবীতে বাঁচবোনা, সবাইকে চলে যেতে হবে। পিছনে রেখে যাবো আমাদের কর্মকান্ড। মাসুদা ভাট্রির ব্যাপারটি নিয়ে আমি ভাবি, আমাকে ভাবায়। একটি বিষয় সারাদেশে তোলপাড় করছে, অথচ এর থেকে বড় বড় বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়না। আমি অবশ্য জানি এটা সরকারের একটি খেলা, সরকার চায় সবার দৃষ্টি এসব ফালতু বিষয়ে জড়িয়ে রেখে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসা, যে কারণে এ ইস্যুটি মাঠকে গরম করে রাখার চেষ্টা করছে। মাসুদা ভাট্রির বিষয় থেকে বড় বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল আইন, সাংবাদিকরেদকে পুলিশের আওয়তায় নিয়ে আসা। আপনি চিন্তা করতে পারেন এ অবৈধ সরকার যে সরকার ভোটে নির্বাচিত হয়নি সে সরকার ডিজিটাল আইন পাশ করে কিভাবে?
প্রিয় তসলিমা নাসরিন, আপনার মাধ্যমে দেশের সবাইকে অনুরোধ করবো এ বিষয়টির এখানেই শেষ হওয়া দরকার। কারণ কেউ বিশ হাজার কোটি টাকার মামলা করে কেউবা দশ হাজার কোটি টাকার মামলা করে, এ সব মামলা কি করে হয় কিসের ভিত্তিতে হয় আমার জানা নেই। যার কোনো মুল্য নেই সমাজে সে কিভাবে বিশ হাজার কোটি টাকার মামলা করে? বৃটেনে হাইকোর্টে মানহানির মামলা করতে হলে যে ব্যাক্তি করবে তার কতটুকু সমাজে গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে সেটির ভিত্তিতে করতে হবে। যে কোনো টম ডিকেন হ্যারি কি করে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে দশ বিশ হাজার কোটি টাকার মামলা টুকে দেয় আমি বুঝিনা। আমি বলবো এসব ফালতু বিষয় থেকে দেশের ৫৫ জন বুদ্ধিজীবি সাংবাদিক সম্পাদক বেরিয়ে আসবেন। সরকারের অন্যায় এবং অবৈধ কাজের বিরোধিতা করবেন। এই বাংলাদেশে কে চুর আর কে পীর আমরা সবই জানি। কে বৈধ পথে টাকা রোজগার করেছেন আর কে অবৈধ পথে টাকা রোজগার করেছেন সবাই সবার খবর রাখে। সেদিন পত্রিকায় দেখলাম ভারতের এক সাবেক এমপি এখন কার বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর বাংলাদেশে বেশীরভাগ এমপি মন্ত্রী রাজনীতিবীদ, সাংবাদিক শত কোটি টাকার মালিক, হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা কি করে সম্ভব? সবাই সৎ উপায়ে টাকা রোজি করেছেন, এ্টাই সত্য? লন্ডনে আছি প্রায় ৩০ বছর ধরে গাড়ী পরিবর্তন করতে পারিনা। অথচ এক শ্রেণীর মানুষ দুনাম্বারী করে প্রতি বছর গাড়ী পরিবর্তন করে লম্বা লম্বা কথা বলে। ঢাকায়ও আপনার আমার অনেক বন্ধু সাংবাদিক দুনাম্বারী করে টাকা রোজগার করেছেন, বিছানায় গিয়ে————–অনেক কিছুই করেছেন, সবাই তো চরিত্রবান, কেউ চরিত্রহীন না, শেষ কথা হচ্ছে ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন সাহেব কোনোভাবেই কাউকে চরিত্রহীন বলতে পারেননা। আমরা সবাই চরিত্রবান, তিনি ভূল করে বলে ফেলেছেন তার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ তিনি যেন মাসুদা ভাট্রি সহ সব নারী সাংবাদিকদের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র বলে এ বিষয়টির সুরাহা করে জাতীকে কুতর্ক থেকে মুক্তি দেন। আপনার প্রতি অনেক শুভ কামানা তসলিমা নাসরিন আপনি ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ শেষ খবর হচ্ছে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাগর রুনীর হত্যাকারীকে আজো গ্রেফতার করা হলোনা, ৫৫ সম্পাদক সাংবাদিক আপনারা তো মানুষ না আপনারা হচ্ছেন আওয়ামী চামচা। করতে থাকুন চামচামী দেখুন ডিজিটাল আইন দিয়ে সরকার কি করে! এ ব্যাপারে আরো লিখবো প্রিয় পাঠক আপনারা অপেক্ষা করুন।
লেখক: সভাপতি ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাব,সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বাংলা স্টেটমেন্ট ডট কম,ব্যবস্থাপনা পরিচালক চ্যানেল আই ইউরোপ। (মতামত লেখকের নিজস্ব )